ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার সময় সহকর্মীকে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের থাপ্পড় মারার যে ভিডিও ছড়িয়েছে, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বুধবার দৈনিক বাংলাকে মোবাইল ফোনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, ‘আমি ভিডিও দেখিনি, কী পরিস্থিতিতে এডিসি অন্য সদস্যকে ধাপ্পড় মেরেছেন। রমনার ডিসি যদি রিপোর্ট করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় সোমবার রাত ও মঙ্গলবার দিনভর কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। রাতে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে মাঠে নামে পুলিশ। ওই সময়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ঢাকা কলেজের ছাত্রদের লক্ষ্য করে পুলিশের রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দেন এডিসি হারুন অর রশিদ। গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় পুলিশের এক সদস্যকে থাপ্পড় মারছেন তিনি। গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এডিসি হারুনের প্রত্যাহারও দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সংঘর্ষের সময় পুলিশের আচরণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিল বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ। এগুলো তদন্ত বা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন নেই। ১০ তলা ভবনের ওপরে উঠে কারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে? ’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা চেষ্টা করেছি, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক, কলেজশিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে ছাত্রদের ভেতরে প্রবেশ করানোর। ব্যবসায়ীদের নেতাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সকালে শিক্ষকরা আসছেন, ব্যবসায়ীরা আসছেন। তাদের কেউ কেউ দেরি করে আসছেন। তারা আসার পর আমরা ছাত্র ও শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে বলছি। কোনো সংঘাত যাতে না হয় সে চেষ্টা আমরা শুরু থেকেই করে আসছি।
‘যখন দেখতেছি কেউ কথা শুনতেছে না, তখন আমরা অ্যাকশনে গেছি। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। একটা ছাত্র আহত হওয়াতেই সারা ঢাকা শহরে আগুন জ্বলে গেল! কিন্তু পুলিশের আসলে কোনো লাভ নেই। আমরা চাই না সংঘাত হোক, কেউ আহত হোক।’