কফি পান উপকারী। তবে এতে বাড়তি চিনি ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়।
সঠিক উপায় জানা থাকলে কফি পানেও পেটের মেদ কমানোতে সহায়তা করতে পারে।
কালো কফি পান
যারা ‘ব্ল্যাক কফি’ বা কালো কফি পানে অভ্যস্ত তাদের জন্য সুখবর হল এটা স্বাস্থ্যকর। বাড়তি চিনি বা ক্রিম ছাড়া কফি খাওয়া সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
‘দ্য ফার্স্ট টাইম মম’স প্রেগ্নেন্সি কুকবুক অ্যান্ড ফুয়েলিং মেইল ফার্টিলিটি’ বইয়ের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ লরেন ম্যানাকার ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “ব্ল্যাক কফি ক্যালরি মুক্ত ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অনেক গবেষণায় জানা গেছে এতে থাকা ক্যাফেইন ওজন কমাতে সহায়তা করে।
দারুচিনি যোগ করা
ম্যানাকার বলেন, “কফির মিষ্টতা বাড়াতে হাইড্রোজেনেইটেড তেল সমৃদ্ধ ক্রিমার যোগ না করে বরং সকালের কফিতে স্বাদ মতো দারুচিনির গুঁড়া যোগ করতে পারেন। দারুচিনি কফিতে বারতি ক্যালরি যোগ না করে স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করে।”
দারুচিনি কেবল কফিতে ক্যালরি ছাড়া স্বাদ বাড়ায় না বরং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহনাশক হিসেবেও কাজ করে।
কফিতে প্রোটিন যোগ করা : কফি পানকারীরা অনেকই এই কৌশল সম্পর্কে জানেন না। সকালে কফিতে প্রোটিন পাউডার যোগ করে পান করা হলে তা ওজন কমানোর লক্ষ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। ‘প্রোটিনের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওজন কমানো, চর্বিহীন পেশি তৈরি করা এবং চর্বি কমানো। কফিতে ‘হোয়ে প্রোটিন’ যোগ করা পেটের চর্বি কমানোর দারুণ উপায় এবং এটি গ্রহণ করা ভালো অভ্যাস। দিনের শুরুতে এইভাবে কফি পান বিশেষভাবে কার্যকর।’ বলেন ‘গো ওয়েলনেস’য়ের লেখক ও জর্জিয়ার নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কোর্টনি ডি’অ্যাঞ্জেলো।
সূত্র : বিডি নিউজ