মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন

জামালগঞ্জে গুনীজন সম্মাননা ও মোড়ক উন্মোচন
রিপোর্টারের নাম / ৭৩ বার
আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মো. শাহীন আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে গুনীজন (মরণোত্তর) সম্মাননা ও সাহিত্য ম্যাগাজিন ভাটিবৃন্ত মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ডা. এসপি রায় ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র সহযোগিতায় ও জামালগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সাহিত্য পরিষদ সভাপতি মো. মহসিন কবিরের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি রেজাউল করিম কাপ্তানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রেজাউল করিম শামীম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, জামালগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সীতোষ কুমার তালুকদার, সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল আম্বিয়া, জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান ভূষণ চক্রবর্তী, আ’লীগ নেতা জহিরুল হক তালুদার, সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা বিদ্যুৎ জ্যোতি চক্রবর্তী, ওয়ালী উল্লাহ সরকার, জামিল আহমেদ জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা জসিম তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন ও জামালগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বায়েজীদ বিন ওয়াহিদ এবং অর্থ সম্পাদক নূর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামালগঞ্জ সরকারি মডে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় (৬) জন ভূমিদাতাকে মরণোত্তর ক্রেস্ট প্রদান ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।ভূমিদাতা মো. রহমত উল্লাহ তালুকদার, মো. ছিফত উল্লাহ তালুকদার, মো. সরাফত উল্লাহ তালুকদার, মো. আজেফর আলী তালুকদার, মো. আহমদ আলী তালুকদার ও যোগেন্দ্র কুমার দাসের পক্ষ থেকে স্ব স্ব পরিবারের লোকজন এই মরণোত্তর সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহন করেন। প্রধান অতিথি শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যাঁরা তৎকালীন সময়ে ভূমি দান করছেন তাঁরা সমাজের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে সারাজীবন। এছাড়াও জামালগঞ্জ উত্তরে ১ টি ও ভীমখালী ইউপিতে ১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন তিনি। তাছাড়া গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নেতিবাচক কোন লেখার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করা দরকার। একটা প্রতিষ্ঠানের সম্মান অর্জন করা দীর্ঘদিনের ফসল।বিশেষ অতিথি রেজাউল করিম শামীম তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই স্কুল আজকের অবস্থানে আসতে অনেক অবদান আছে আমাদের পূর্ব পূরুষদের। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভাঙ্গা জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ভবন, তৎকালীন সময়ে ভূমিদাতাগণ ও আমার পিতা মরহুম হাজী সাদেক আলী সাহেবসহ আরো নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় তা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তাছাড়া আমি নিজে সভাপতি থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। আজকে ভূমিদাতাদের এই সম্মান দেওয়াটা দেরিতে হলেও খুব আনন্দিত হয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ