ইউক্রেনকে সোভিয়েত আমলে তৈরি ট্যাংক দ্রুত সরবরাহ করতে পদক্ষেপ নেবে ওয়াশিংটন। নাম প্রকাশ না করা যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই ভারী অস্ত্র চেয়ে আসছিল কিয়েভ। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের দেশগুলো প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করলেও এতোদিন কোনো আক্রমণাত্বক অস্ত্র সরবরাহ করেনি।
আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের সূত্রটি জানিয়েছে ইউক্রেনের কাছে খুব শীঘ্রই ট্যাংক হস্তান্তর শুরু হবে। তবে কতগুলো ট্যাংক পাঠানো হবে এবং কোন দেশ ট্যাংকগুলো সরবরাহ করা হবে, তা জানানো হয়নি।
ইউক্রেনীয় সেনারা সোভিয়েত যুগের সামরিক সরঞ্জামের সঙ্গে পরিচিত। ফলে সোভিয়েত যুগের ট্যাংক সরবরাহ করলে তা ইউক্রেনীয়রা অল্প প্রশিক্ষণ নিয়েই যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে মোকাবেলায় এর আগে ন্যাটোর কাছ থেকে তাদের ট্যাংক ও বিমানের ‘এক শতাংশ’ চেয়েছিল। ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডও এর আগে কিয়েভকে সোভিয়েত আমলের যুদ্ধবিমান দিতে চেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় সে সময় ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়া হয়নি। এবার ট্যাংক দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত স্পষ্ট।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।