দক্ষিণ কোরিয় নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্টের দফতরের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ এমন তথ্য জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এএফপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিম দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের কাছে পাঠানো চিঠিতে বার বার এ ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি বলেছেন। কিম প্রেসিডেন্ট মুনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো ওই চিঠিতে লেখেন, তিনি মুন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের কাছে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছেন। এ ঘটনায় তিনি অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী,একদিন আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে। এই ঘটনাকে নৃশংস কার্যক্রম আখ্যায়িত করে তার নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিউল বলছে, সীমান্তের কাছে একটি টহল নৌকা থেকে সোমবার তিনি নিখোঁজ হন। পরে তাকে উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় পাওয়া যায়। পরে উত্তর কোরিয়ার সেনারা তাকে গুলি করে তার মরদেহে তেল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।তবে এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোমবার উত্তরের সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় ওই কর্মকর্তা একটি টহল নৌকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
তিনি পক্ষত্যাগ করে উত্তর কোরিয়ার প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলে অজ্ঞাত গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।
করোনা ভাইরাসের প্রবেশ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া সীমান্তে কঠোর নজরদারির যে নির্দেশ দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তার কারণেই দেশটির সৈন্যরা দক্ষিণের ওই কর্মকর্তার উপর গুলি ছুড়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ৪৭ বছর বয়সী ওই মৎস্য কর্মকর্তা কী করে উত্তরের জলসীমায় পৌঁছেছিলেন, দক্ষিণের সেনাবাহিনী তার ব্যাখ্যা দেয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল আন ইয়ং-হো বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী এ ধরনের বর্বরতার কড়া নিন্দা জানাচ্ছে।উত্তর কোরিয়ার কাছে এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাইছি এবং দোষীদের শাস্তি দেয়ারও দাবি জানাচ্ছি।