অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দিয়েছে আদালত।
রোববার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেয়।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ আসামি সম্রাটকে আদালতে হাজির করে রমনা থানার মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
সম্রাটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে জামিন দেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার সময় অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়।
এছাড়া অস্ত্র আইনের আরেক মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এ আইনজীবী জানান, সম্রাট গ্রেপ্তার হওয়ার প্রথম দিকে এ রিমান্ড আবেদন করেছিল সিআইডি। কিন্তু তখন সে অসুস্থ থাকায় শুনানি হয়নি। সম্প্রতি আমরা মামলাটিতে জামিনের আবেদন করলে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ১০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন।
ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফা রিমান্ড শেষে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন। ওই ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।