‘নিজের তৈরি খাঁচায় বন্দি পুতিন’
ইউক্রেনে সামরিক হামলার চালানোয় বিশ্বরাজনীতিতে শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রভাব ও অবস্থান হারিয়েছে রাশিয়া। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।
স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন বেন ওয়ালেস।
তিনি বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন এখন আর আগের ইমেজধারী শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট নন। তিনি এখন নিজের তৈরি খাঁচায় বন্দি এক রাষ্ট্রপতি।’
‘পুতিনের সেনাবাহিনী ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। যুদ্ধে বাহিনীটির ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। রুশ পরাক্রমশালী সেনাবাহিনীর খ্যাতি এখন নর্দমায় স্থান পেয়েছে।’
‘ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে পুতিন যা করেছেন সেই পরিণতি তাকে পিছু ছাড়বে না। একই সঙ্গে তার নিজের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তিনি যা করেছেন তার পরিণতিও তাকে বাকি জীবন বহন করতে হবে।’
ওয়ালেস আরও বলেন, ‘রুশ বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে এবং ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে নতুনভাবে হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে। যা থেকে মুক্তি পাবে না বেসামরিক স্থাপনাও।
‘আমরা আগেও দেখেছি, সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর এমন সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনী ও সরকারের জন্য আরও ভয়াবহ পরিণতি বয়ে নিয়ে আসে,’ যোগ করেন তিনি।
‘এই ধরনের হামলার ভয়াবহ পরিণতি আমরা আগেও দেখেছি। এটি সব সময় খারাপই হয়। এমন অভিযানে আরও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়। আরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।’
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ যুদ্ধে সহায়তার লক্ষ্যে আরও বেশিসংখ্যক সাঁজোয়া যান, দূরপাল্লার কামান এবং গোলাবারুদসহ আরও সামরিক সরঞ্জাম এবং মরণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের হামলা। হামলাটি দ্বিতীয় মাসে গড়িয়েছে।
ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এ ব্যাপারে বরাবরই তাদের সতর্ক করে আসছে রাশিয়া। সর্বশেষ যুদ্ধের কারণ হিসেবে তারা বলছে, দেশটিতে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পণ্য আমদানি। কোনো কোনো দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র, অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাঠিয়েছে।