নিজস্ব প্রতিবেদক :মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সালেহা বেগম নামে এক নারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ফেরি ঘাট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪ এর একটি দল।নিহত সালেহা বেগম মানিকগঞ্জের শিবালয়ের নিহালপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
গ্রেপ্তার রেজাউল মন্ডলের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয়ের নিহালপুর এলাকায়। তিনি পেশায় চা-দোকানদার ছিলেন।
র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আরিফ হোসেন শুক্রবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রেজাউল ও সালেহা বেগমের স্বামী সিরাজুল ইসলাম পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে চায়ের দোকান চালাত। রেজাউলের সঙ্গে সালেহার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সালেহার স্বামী ২০১১ সালের ১ আগস্ট রাতে বাড়িতে না থাকায় রেজাউল তার বাড়িতে যায় এবং এক পর্যায়ে সালেহা রেজাউলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।
বিয়েতে রাজি ছিলেন না রেজাউল, এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ের সালেহার পরনের কাপড় দিয়েই সালেহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান রেজাউল। এ ঘটনার পরদিন ২ আগস্ট সালেহার ভাই ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে রেজাউলকে আসামি করে শিবালয় থানায় হত্যা মামলা করেন এবং পুলিশ আসামিকে তখন গ্রেপ্তারও করে।
এরপর আসামি রেজাউল ৪ বছর জেল হাজতে থাকেন এবং মামলার রায়ের আগে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০১৫ সালে বিচারিক আদালতে আসামি দোষী প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ফেরি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শিবালয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহিন জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামি রেজাউল মন্ডলকে কারাগারে পাঠানো হবে।