ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ট্রাকচাপায় নিহত মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ নিয়ে ২ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে ছিলেন তার বাবা। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে বিচারের দাবিতে তিনি সড়কে অবস্থান নেন। পুলিশ গিয়ে আশ্বস্ত করলে তিনি মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
নাসিরনগরের হরিপুর-হবিগঞ্জ সড়কের মাধবপুর এলাকায় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ছেলে রাসেল মিয়ার মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন হরিপুর ইউনিয়নের টেকপাড়ার আওয়াল মিয়া। সঙ্গে ছিলেন তার স্বজন ও এলাকাবাসী।
আওয়াল জানান, হরিপুর সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণিতে পড়ত রাসেল। হরিপুর সড়কের পাশেই তাদের বাড়ি। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশে বন্ধুদের নিয়ে খেলছিল রাসেল। সে সময় স্থানীয় একটি ইটভাটার মাটি আনা-নেয়ার কাজে নিয়োজিত একটি ট্রাক রাসেলকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ তাদের হস্তান্তর করেন। তবে মরদেহ তারা দাফন না করে বাড়িতেই রাখেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মরদেহ নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন আউয়াল। তিনি অভিযোগ করেন, কাপ্তানের নির্দেশেই ট্রাক রাসেলকে চাপা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইটভাটার কাজে ট্রাক চলাচল করায় ওই সড়ক নষ্ট হচ্ছিল। এই জন্য কাপ্তান মিয়াকে আমি বাধা দেই। পরে কাপ্তান মিয়া আমাকে হুমকি দেয়। ট্রাকের সামনে যা পড়বে সব মাটির সঙ্গে পিষে দিতে তার লোকজনকে বলে। সোমবার দুপুরে ট্রাকচাপায় আমার ছেলেকে ওরা মেরে ফেলেছে।’
‘রাতে মামলা করতে নাসিরনগর থানায় যাই। সেখানে আমার লেখা মামলা না নিয়ে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়া হয় এই বলে যে উকিল দিয়ে লেখানো মামলা তারা নেবে না। থানায় মামলা লিখলে নেবে। আমার ছেলে হত্যা বিচার চাই। মামলা না হলে ছেলের দেহ কবর দিব না।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. কাপ্তান জানান, তিনি কাউকে হুমকি দেননি। এ ঘটনায় তিনি জড়িত নন।
এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। রাসেলের বাবাকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে, মামলা নেয়া হবে। পরে তারা সন্ধ্যা ৬টায় সড়ক ছেড়ে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।