শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৭:১১ অপরাহ্ন

  • বাংলা বাংলা English English

সরাইলে বাড়ির গাছে গাছে আমের মুকুল ছড়াচ্ছে
মো.তাসলিম উদ্দিন / ১৩৩ বার
আপডেট সময় শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

 

মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল অঞ্চলের গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। অন্যান্য বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মুকুল আসা শুরু হলেও এবারে এরই মধ্যে সরাইলের বেশ কিছু গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে, কিছু গাছ ছেয়ে গেছে মুকুলে। গ্রামের মানুষে অনেকেই জানান,এবারে শীতের তীব্রতা কিছুটা বেশী থাকায় আগাম মুকুল চলে এসেছে। আগামী একমাস ধরেই মুকুল আসবে। বাড়ির ছাদের উপর থেকে গাছে আমের মুকুল দেখে মেহজাবিন
পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের কবিতার কয়েকটি লাইন ছোট্ট কন্ঠে আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা’ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে’মামার বাড়ে যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে’ আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে ‘রঙিন করি মুখ।আসলে পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতা বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। যদিও মেহজাবিন জানান তার মামলার বাড়ি ঢাকা জেলায়
তবে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।তবে সরাইলে বাড়ি বাড়ি সবার একটি বা কয়েকটি আম গাছ রয়েছে। বাগানে না হলেও বাড়ির আঙিনায় বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। উপজেলার গতকাল বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, আম বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছেকেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। আম বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় সামান্য ঝড়- তুফানে মুকুল ঝরে যায়। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলনের আশা করছেন এলাকাবাসী। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো বাড়ির আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাড়ির মানুষের চোখে ভাসছে স্বপ্ন আম খাওয়ার। বাড়িতে যাদের আম গাছ আছে তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আম বহু জাতের আছে তবে আমরা বাজার থেকে আম আনে খায়, কোন সময় কি আম খায় তা মনে থাকেনি। তারা বলে ল্যাংড়া, ফজলি, কাঁচামিঠা অন্যতম। ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে বলে জানান বাড়ির মানুষরা। কালিকচ্ছের স্বপন ও মমিন জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে তাদের বাড়ির সামনে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে গাছে মুকুল বের হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর

জনপ্রিয় সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ