মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সাগর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি-
চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন এর সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আক্তারুজ্জামান।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘৭২ থেকে ‘৭৫ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার যে দর্শন ছিল তা বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এসডিজি অর্জনে শিক্ষার্থী,অভিভাবক, শিক্ষক এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আগামীদিনের কর্নধারদেরকে মেধাবৃত্তি ও শিশু মেলারমত চমৎকার আয়োজন করার জন্য চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন – চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, এমপি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মাননীয় সাংসদ বলেন, ২০০৪ থেকে আজকে ১৭তম শিশু মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠান হচ্ছে। আগামী দিনের নাগরিকদের জন্য এই সুন্দর কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভবিষ্যতে এই আয়োজনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মো. শাহগীর আলম।
জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব, ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব অধ্যাপক হাসিনা জাকারিয়া বেলা।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রাক্ষণবাড়িয়ার মাননীয় উপাচার্য, শিক্ষকমন্ডলী,
ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্ধ।
অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মকবুল আহাম্মদ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, ভবিষ্যতের আলোকিত মানুষ হিসেবে ছোট্ট সোনামণিদের গড়ে তুলতে আমাদের এই আয়োজন যদি একটু কাজে লাগে তাহলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে। এই সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
পরে সংবর্ধিত অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সম্মানিত প্রধান অতিথি ও এমপি মহোদয়।
তারপর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
এসময় শিশুদের জন্য নাগরদোলা, পুতুলনাচ, বানরনাচসহ বইমেলার আয়োজন করা হয়।