ইউক্রেনে ৩৪ দিন ধরে রুশ সামরিক অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের রাজধানী দখল করতে সক্ষম হয়নি রুশ সেনারা। এরই মধ্যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তাদের হামলায় ১৭ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনারা জানিয়েছে, দেশটিতে হামলা শুরুর পর ১৭ হাজার ২০০ রুশ সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছে।
ইউক্রেন সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি, এর মধ্যে রাশিয়া ৫৯৭টি ট্যাংক, ১ হাজার ৭১০টি সাঁজোয়া যান, ১২৭টি যুদ্ধবিমান, ১২৯টি হেলিকপ্টার ও ৭টি যুদ্ধজাহাজ হারিয়েছে।
আফগানিস্তান যুদ্ধে যেখানে ৯ বছরে ১৫ হাজার সোভিয়েত সেনা মারা গেছে। সেখানে যুদ্ধের ৩৪ দিনে এসেই ১৭ হাজারের বেশি সেনা হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন।
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধে ১ হাজার ৩৫১ রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
রুশ সেনা হতাহতের বিষয়ে উভয় দেশের দাবিই নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি আল জাজিরা।
এদিকে ব্রিটিশ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের বরাতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে লড়বে রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার।
এরই মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা ধারণা করছে, প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নেতাসহ ১ হাজারের বেশি যোদ্ধা সম্মুখযুদ্ধে লড়বে।
গত সপ্তাহে পেন্টাগন থেকে সতর্ক করা ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেনে তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে।
ওয়াগনার গ্রুপ মূলত রাশিয়ার একটি প্রাইভেট মিলিটারি প্রতিষ্ঠান। রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে যেকোনো প্রয়োজনে এরা একসঙ্গে কাজ করেছে। তবে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিকভাবে আলোচনায় আসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ডনবাসের হয়ে লড়াইয়ের সময়। এ ছাড়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের হয়ে যুদ্ধ করেছে। রুশ স্বার্থে লড়েছে লিবিয়াতেও।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।