ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবারই রাজধানীসহ সারা দেশে বেপরোয়া হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। বিষয়টি মাথায় রেখে চক্রের সদস্যদের ধরতে বিশেষ নির্দেশনা দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
সে নির্দেশনার আলোকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টি চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বুধ ও শুক্রবার রাজধানীর হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ। ওই সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যরা হলেন আব্দুর রহমান শুভ, ইয়াছিন আরাফাত জয়, বাবু মিয়া, মো. ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, জনি খাঁন, মো. রোকন, মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মনির হোসেন, মো. জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, মো. আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, মো. শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মো. রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মো. মাসুদ, তাজুল ইসলাম মামুন, মো. সবুজ, মো. জীবন, রিয়াজুল ইসলাম, মুন্না হাওলাদার, শাকিল হাওলাদার, মো. ফেরদৌস ও আবুল কালাম আজাদ।
রাজধানীর মিন্টো রোডে শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, ‘রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতরের নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান-মলম পার্টির দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ছিনতাই, ডাকাতি ও দস্যুতার প্রস্তুতিকালে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবারের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মাহবুব বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেট ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগে অচেতন করে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে যায়।
‘আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ড অনুসন্ধান করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা পাওয়া গেছে।’