মোহাম্মদ রাসেল মিয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত সংলগ্ন বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ। এমনিতেই সীমান্ত সংলগ্ন হওয়াতে চোরাকারবারীদের দাপট।এর মধ্যে মাদকের ভয়াবহ সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকায় সীমান্ত বেড়া পাড়ি দিয়ে এদেশে দেদারসে ঢুকছে মরণ নেশা। কারবারিদের হাতে প্রচুর কালো টাকা আর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। এরা ধরাকে সরা জ্ঞান করে।প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কাউকেই পাত্তা দিতে চায়না। প্রশাসন থেকে মাদক নির্মূলে জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য চাওয়া হয় বারবার। জনপ্রতিনিধিরা সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টার কমতি করেন না। কিন্তু মাদক কারবারি দের স্পর্ধা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। তার প্রমাণ হলো ১০নং বায়েক ইউপির ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো তাজুল ইসলাম। মাদক কারবারি দের ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এবার তিনি প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন।
এলাকার জনগণ এ ব্যাপারে বৈঠক করে স্বাক্ষর দিয়ে স্মারক লিপি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।এলাকাবাসী আশা করছেন যথাযথ আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে এ সকল চিহ্নিত মাদক কারবারি দের টুটি চেপে ধরা হবে।স্মারকলিপিতে তাজুল ইসলাম মেম্বার চিহ্নিত পাচজন মাদক কারবারি যারা উনাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন তাদের নামোল্লেখ করেছেন। প্রধান হোতা মো সোহেল রানা(৩৬) পিতা রেহানউদ্দিন সাং বিদ্যানগর, ২/ আনোয়ার হোসেন (৩৫) পিতা আবুল হাসেম মিয়া, ৩/ মো রাসেল মিয়া(৩০) পিতা আবুল হাসেম মিয়া, ৪/ মো ইমান হোসেন(৩২) পিতা মৃত বিল্লাল হোসেন সকল সাং গৌরাঙ্গলা,৫/ বাদল মিয়া(৩৫) পিতা জুজু মিয়া সাং বাদালিয়া সর্ব ইউপি বায়েক। এর মধ্যে প্রধান আসামী আলোচিত তামিম হত্যা মামলা সহ একাধিক মাদক মামলার আসামী। গত ০৫ মে ২০২২ তারিখে তাজুল ইসলাম মেম্বার উনার বাড়ীর সামনের রাস্তা দিয়ে মাদক পরিবহনের সময়ে আসামীদের বাধা প্রদান করেন। আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাজুল মেম্বার কে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে তিনি স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন। মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূলে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার এমন আহ্বান জানানো হয়ে থাকে। এমনকি বিট পুলিশিং কার্যক্রমেও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো জনপ্রতিনিধিকে যখন মাদক কারবারিরা প্রাণনাশের হুমকি দিলো তখন প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কি না।